শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপী বৈষম্য বিরাজমান গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
বৈষ্যমের কারণে ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়েছিল সেই একই কারণে পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তানের বিভাজন। কিš‘ তারপরও বৈষ্যমের শেষ হয়নি। এখনও বাংলাদেশে শতকরা ২০ভাগ মানুষ সুবিধাভোগী আর ৮০ ভাগ মানুষ সুবিধাবঞ্চিত। গণ বিশ্ববিদ্যায়ের ট্রাস্টি এবং উন্নয়ন ও তদারকি কমিটির সভাপতি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লেখা ‘সুশাসনের জন্য পাঁচ প্রস্তাব’ শীর্ষক প্রবন্ধের উপর ১৭.০২.২০২১ ইং তারিখ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি আরো বলেন- বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী ধনী গরীবের বৈষম্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। মানবিক সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার যে চেষ্টা তাও পুরনো নিয়মেরই নতুন বহি:প্রকাশ। এ বৈষম্য দূরীকরণে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। এজন্য দরকার সামাজিক বিপ্লব। সামাজিক বিপ্লবই পারে বিশ্বব্যাপী বৈষম্য দূর করতে’।
রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রাহমান চৌধুরী এবং শুভে”ছা বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু। এরপর মূল প্রবন্ধের উপর আলোকপাত করেন রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের পাঁচ শিক্ষক ড. মোঃ আলী আযম খান, মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী, তাবাতসুম নিপা, রাজীব হায়দার রোমান এবং সারাহ্ নূরুন্নাহার। তারা সুশাসনের জন্য পাঁচ প্রস্তাব নিয়ে আমাদের ও বিশ্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরীক্ষে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা সে ব্যাপারে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর কাছে জানতে চান। এ বিষয়ে আলোচনায় আরো অংশ নেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আতাউর রহমান খান।
জুমের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী- এসময় সুশাসনের জন্য পাঁচ প্রস্তাব নিয়ে তার প্রবন্ধের উপর শিক্ষকদের সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন-‘সুশাসনের জন্য এটি একটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা, বাস্তবতার নিরীখে এর পরিবর্তন ও পরিমার্জন সম্ভব। যদি সহজভাবে চিন্তা করি এর বাস্তবায়নও সম্ভব। তিনি আরো বলেন-স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তনে সবার আগে গ্রামের চিকিৎসায় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। মাত্র ১০ কোটি টাকা খরচ করলে গ্রামীণ চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব। সাধারণ মানুষের জীবন পরিবর্তনে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার ড. এস, তাসাদ্দেক আহমেদ।