গণ বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে পরিচালিত হচ্ছে: অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে। ১০ অক্টোবর, ২০২২ইং তারিখ সোমবার সাভারস্থ গণ বিশ^বিদ্যালয়ের এপ্রিল-২০২২ সেমিস্টারের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, গণ মানে পাবলিক এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল একাডেমিক ভবন, ল্যাব সুবিধা, পাঠদান ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিচালিত হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। সেক্ষেত্রে গণ বিশ্ববিদ্যালয় নামটি স্বার্থক। এছাড়া কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিগণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নানা ধরণের সুবিধা গ্রহণ করলেও গণ বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও চেষ্টার মাধ্যমে তা বাস্তবে রূপ দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের এক্ষেত্রে গ্রুপ স্টাডি করারও পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো: ওমর ফারুখ বলেন, নানা কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বতন্ত্র মনে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও ক্যাম্পাস ফটকে বাংলার মহীয়সী নারীদের অবয়বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মোটকথা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা পাল্টে গেছে।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস তাসাদ্দেক আহমেদ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি।
এর আগে সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ কুমার চন্দ। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে ছয় শতাধিক নবীন শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে শপথ নেন। দেশ ও জাতি গঠনে পথ নির্দেশক সাতটি শপথ বাক্য পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সবশেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।